কারা লা-মাজহাবী তথা আহলে হাদিস? — ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী
কারা লা-মাজহাবী তথা আহলে হাদিস?
===========
১। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম হুনাইনের যুদ্ধে গণিমতের মাল বিতরণের সময় এই নজদিদের বংশ তামীম গোত্রের এক লোক এসে বলল, “হে মুহাম্মাদ! (নাউজুবিল্লাহ!) ইনসাফ করুণ।” আস্তাগফিরুল্লাহ। হযরত উমর এবং হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) এ কথা শুনে তাঁদের তলোয়ার উন্মুক্ত করে রাসুলের কাছে ওই তামিমিকে হত্যা করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। কিন্তু রাসুল দঃ অনুমতি না দিয়ে বললেন, সে একা নয়, এর থেকে এমন আরো অনেকে বের হবে যাদের নামাজ আর রোজা তোমাদের নামাজা আর রোজা থেকে অনেক সুন্দর হবে। তারা সুন্দর করে কুরআন পড়বে কিন্তু কুরআন এদের কণ্ঠনালীর নিচে নামবে না। আর এরা ধর্ম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায় কিংবা তীর ধনুক থেকে যেভাবে বের হয়ে যায়। আর ফিরে আসেনা। তারাও আর ইসলামে ফিরে আসবে না।
রাসুল দঃ এর সেই অভশপ্তরাই হলো নজদি ওহাবী এবং আহলে হাদিস, নব্য সালাফিয়্যাহ!
২। বিন আব্দুল ওহাব নজদির পিতা তার এমন ভয়ংকর মতবাদ শুনে তিনি যতদিন বেঁচে থাকেন ততদিন এ মতবাদ প্রচার করতে নিষেধাজ্ঞা দেন। ফলে সে ১৭৪০ থেকে ১৭৪৬ পর্যন্ত তার মতবাদ পিতার আদেশে বন্ধ রাখে। পিতার মৃত্যুর পর ১৭৪৬ সালে সে নতুন উদ্যোমে তার ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার শুরু করে। তার ভাই সুলাইমান বিন আব্দুল ওহাব্দ এর বিরোধিতা করলে সে তার ভাইকে হত্যা করে। এরা যে কত হক্কানি আলেমকে হত্যা করেছে তার সঠিক হিসেব পাওয়া মুশকিল।
৩। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনায় যাদের হাত ছিল তাদের মধ্যে এই তামিম গোত্র অন্যতম। সেদিন মুসলমান শহীদদের ছিন্ন মস্তকগুলো এরা ভাগ করে নেয়। আর তামিম গোত্র পায় ১৭ টি শির। (দেখুন শামে কারবালা) আর এ কারণেই এরা আশুরা এলে কারবালা নিয়ে আলোচনা পর্যন্ত হারাম মনে করে। আর এজিদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকে। এদের শিষ্য যত আহলে হাদিস নেতা আছে সবাই এজিদ প্রেমিক। এরা সত্যিকারের ইসলামকে ধ্বংস করে এদের মনগড়া ইসলাম প্রচার ও প্রসার করে যাচ্ছে। বিনিময়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে।
তালিবান, আল-কায়েদা, বূকো হারাম, আল-শাবাব, নুসরাহ ফ্রন্ট, আই এস, দায়েশ, নব্য সালাফিয়্যাহ, আহলে হাদিস, জামাত, জমায়াতুল মুজাহিদীন, সব এদের পয়সায় চলে। এর মধ্যে জাকির নায়েকের ইসলামী রিসার্চ সেন্টার পায় কয়েক বিলিয়ন প্রতি বছর। বাংলাদেশে এরা মসজিদ বানিয়ে নিজেদের ইমাম নিয়োগ দিয়ে মানুষের ঈমান ও আক্বীদা হরন করছে। মাঝে মাঝে ভাবি এদের ঈমানবিধ্বংসী প্রচার থেকে সাধারণ মুসলমান কীভাবে রক্ষা পাবে? আল্লাহ্ তুমি আমাদের ঈমান, আমল, আক্বীদা হেফাজত করো!
আমীন!
~~~ ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী